ভানুময় চন্দ ( ত্রিপুরা ) : অসম ও মিজোরামের মধ্যে জন সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে উভয় জেলা প্রশাসনের রুদ্রদ্বার বৈঠক সম্পন্ন পাথারকান্দির ইচাবিলে।দীর্ঘদিন ধরে অসমের সরকারি ভুমি হাতিয়ে নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে লাগোয়া মিজোরাম রাজ্যের কপিতয় দুবৃত্তরা।ফলে বিষয়টি নিয়ে দুটি রাজ্যের মধ্যে দীর্ঘ কয় বছর ধরে টানা বিবাদ চলে আসছে । সম্প্রতি একাংশ মিজোদের আগ্রাসী মনোভাবে অসমের করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দির মেদলিছড়া ও রাতাবাড়ির ভূবিরবন্দ এলাকায় নতুন করে মিজোরামের অবৈধ জবরদখল কান্ডে গত প্রায় কুড়ি দিন থেকে দুটি রাজ্যের মধ্যে এক উত্তপ্তময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ বিষয়টি নিয়ে উভয় রাজ্যের উচ্চ স্তরীয় প্রশাসনিক স্তরে বারকয়েক বৈঠকের পরও কোনো সমাধান সূত্র বের হয়নি । এ নিয়ে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় পাথারকান্দির বাজারিছড়া থানাধীন ইচাবিল এটিসি চা বাগানের কনফারেন্স হলে। এতে উপস্থিত ছিলেন করিমগঞ্জ জেলার উপায়ুক্ত আনবামুথান এমপি সহ নবাগত পুলিশ সুপার মায়াঙ্ক কুমার , অতিরিক্ত উপায়ুক্ত ধ্রুবজ্যোতি দেব , ডিএফও জাহনুর আলি , পাথারকান্দি সার্কেল কর্তা জেনাথন ভাইপেই এবং মিজোরাম রাজ্যের পক্ষে সভায় উপস্থিত ছিলেন মামিত জেলার উপায়ুক্ত ড. লালরোজামা সহ পুলিশ সুপার শসাঙ্ক জয়সয়াল , সদর এসডিও ভিক্টর লালামপুইয়া , ডিএফও লালবিয়াক সহ অন্যান্যরা। সীমান্ত ইস্যু সহ আইন শৃঙ্খলা বিষয় নিয়ে রুদ্ধ দ্বার সভাটি প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলে। বৈঠক শেষে উভয় জেলার জেলাশাসক সংবাদ কর্মীদের সাথে মিলিত হন এবং বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবগত করান। করিমগঞ্জ জেলা শাসক বলেন আজ এই প্রশাসনিক বৈঠকে আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফলপ্রসু ভাবে আলোচনা করে কিছু কিছু ব্যাপারে উভয়ের সম্মতিতে সিদ্ধান্তও নিয়েছি। সীমান্তে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা ছাড়াও অত্যাবশকীয় সামগ্রী আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে যাতে কোনও বাধা না হয় সে ব্যাপারে উভয়ের সম্মতি রয়েছে।জমি বিবাদ সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নে ডিসি জানান এটা উচ্চপর্যায়ের আলোচ্য বিষয়।জেলা প্রশাসন এসবে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।অন্যদিকে মিজোরাম রাজ্যের মামিত জেলার জেলাশাসকও অনুরূপ ভাবে বলেন যে সীমান্তে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখাই প্রশাসনের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। জমি বিবাদ বিষয়টি দুটি রাজ্য সরকার পুর্বের চুক্তি মুতাবেক ডিমারকেশনের মাধ্যমে মিটিয়ে নিতে পারেন। সভায় অত্যাবশকীয় জিনিস পত্র এবং খাদ্যসামগ্রী যাতে দুটি রাজ্যে যাতায়াত করতে পারে তা নিশ্চিত করা হয়। তৎসঙ্গে উভয় রাজ্যে চলাচল করা যান বাহনে সম্পূর্ণ সুরক্ষা প্রদান করা হবে।তবে উক্ত সভায় জমি জবরদখল বিষয় নিয়ে উভয় রাজ্য প্রশাসন মুখ না খুলায় এলাকার সচেতন মহল স্বাভাবিক ভাবে নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। স্থানীয়দের কথায় মিজোরা কয়দিন পরপর রক্ত ঝরিয়ে অসমের জমি জবরদখল করবে আর পরে শান্তি আলোচনার নামে বিষয়টিতে জল ঢেলে ফের কয়দিন পর অনুরুপ কান্ড ঘটিয়ে চলবে তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এসবের এক স্থায়ী সমাধান চাই।